খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪
প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

চিতলমারীতে আশ্রম রক্ষা ও নির্যাতনের শিকার চার পরিবারের বাঁচার আকুতি

চিতলমারী প্রতিনিধি

আশ্রমের সমত্তি রক্ষা ও নির্যাতনের শিকার চারটি হিন্দু পরিবার প্রভাবশালী একটি চক্রের নির্যাতন, হামলা, মামলা ও অত্যাচার হতে করজোড়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে রবিবার (১৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই চার পরিবারের পক্ষে প্রমথ রঞ্জন পোদ্দার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবাশ্রমের পূজারী তপন কুমার সমাদ্দার। শ্রীশ্রীহরি সঙ্গীত প্রণেতা হিসেবে শ্রীমৎ অশ্বিনী গোস্বামীর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বাংলা ১৩৪৫ সালে ওই আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রীমৎ অশ্বিনী গোস্বামীর বংশধর প্রমথ রঞ্জন পোদ্দার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, কলাতলা ইউনিয়নের গঙ্গাচন্না গ্রামের কপিল কৃষ্ণ মন্ডলের নেতৃত্বে ওই সেবাশ্রমের জায়গা দখলসহ নানা অন্যায় অত্যাচার করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে কপিল মন্ডল ওই আশ্রমের কার্যকরী কমিটির সভাপতি হন। এরপর থেকে আশ্রমের আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। আশ্রমের পাশে অবস্থিত চারটি পরিবারের উপর নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা, মামলা ও অব্যাহত রেখেছে। চালাকি করে প্রমথ রঞ্জন পোদ্দারের ১৩ শতকের স্থলে ২১ শতক জমি রেকর্ড করে নেয়। এর প্রতিবাদ করায় কপিলের লোকজন সম্প্রতি প্রমথ রঞ্জন পোদ্দারের ভাইপো শিপন গোলদারকে পিটিয়ে আহত করে। সে হাসপাতালের ভর্তি রয়েছে বলে তারা জানান। এরপর তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাজানো মিথ্যা মামলা করে। কান্নাজড়িত কন্ঠে ভুক্তভোগী নারী ও পুরুষেরা বাঁচার আকুতি জানান।
তারা আরো জানান, অশ্বিনী গোস্বামীর বংশধর হয়েও মামলা, হামলার ভয়ে পালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের আশ্রম বা ভক্তদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ সম্পর্কে কপিল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, আশ্রমের কোন জায়গা তিনি দখল করেননি। বরঞ্চ আশ্রমের জায়গার মধ্যে তার ব্যক্তিগত জায়গা রয়েছে। ঢাকায় তার ব্যক্তিগত ব্যবসা আছে। তার নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ চার বছর হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবী করেন।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!