বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নালুয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জয় ফিলিং স্টেশন এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষস্থল থেকে বন্দুকের এক রাউন্ড কার্তুজ ও এক রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নালুয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাত ভাই (হোসেন আলী) গ্রুপ ও বিপ্লব ফকির (তারিকুল ইসলাম) গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জয় ফিলিং স্টেশন এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছোটাছুটি করে।
সংঘর্ষে মিলু শেখ (২০), মহিদুল ইসলাম (৩৫), জসিম শেখ (২৮) ও নুর ইসলাম (৩০) আহত হয়। আহতদের রাতেই চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই এলাকায় বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে।
সাত ভাই গ্রুপের মো. হোসেন আলী শেখ বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিপ্লব ফকির গ্রুপের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জয় ফিলিং স্টেশন এলাকায় বিপ্লব ফকির ও তার ভাই জুয়েল ফকিরের নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের লোকজনের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় আমার পক্ষের ৪ জন লোক আহত হয়েছে। তাদের কয়েক রাউন্ড বন্দুকের গুলির শব্দে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছোটাছুটি করে। তারা আমার চাচার দোকান ও জয় ফিলিং স্টেশনের ক্যাশ কাউন্টারের কাঁচ ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে বিপ্লব ফকির ও তার ভাই জুয়েল ফকিরসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’
বিপ্লব ফকির গ্রুপের তারিকুল ইসলাম বিপ্লব গুলি করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘শর্টগানের লাইসেন্স আমার নামে। আমার গানের বরাদ্দকৃত গুলি ঠিকই আছে। ওখানে সংঘর্ষের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমার ভাইপো ডালিম ফকিরকে মারপিট নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। আমি উভয় পক্ষকে ঠেকিয়েছি। মুরব্বি পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। বিষয়টি মিমাংশা হয়ে যাবে।’
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টায় চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ সময় সংঘর্ষস্থল থেকে বন্দুকের এক রাউন্ড কার্তুজ ও এক রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে