বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় অবাদে বিক্রি হচ্ছে রাক্ষুসে মাছ পিরানহা। সরকারী ভাবে পিরানহার পোনা উৎপাদন, চাষ, বংশ বৃদ্ধিকরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকার কিছু প্রভাবশালী মাছের আড়ৎ মালিক নিষিদ্ধ ‘পিরানহা’কে দেশীয় সুস্বাদু রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করাচ্ছে হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা করোনার ক্রান্তিকালের স্বাস্থ্য বিধি-নিষেধও মানছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘রূপচাঁন্দা নেবেন না-কি…? রূপচাঁন্দা…! দেখতি সুন্দর, খাতি ভালো, সস্তায় কেনেন রূপচাঁন্দা…! মাছের ফেরিওয়ালার এমন হাঁক-ডাকে আমরা রাস্তায় ছুটে যাই। গিয়ে মাছের চেহারা দেখি। পিরানহা। প্রতিকেজি দেড় থেকে দুইশ টাকা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, চিতলমারী উপজেলা সদরের মাছের আড়ৎ হতে এই মাছ তিনিসহ অন্যান্য ফেরিওয়ালারা সংগ্রহ করেন। তারপর দড়িউমাজুড়ি, খাসেরহাট, শ্যামপাড়া, দুর্গাপুর, খড়মখালি, বাখেরগঞ্জ, নালুয়া, শৈলদাহসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তারা মাছগুলো বিক্রি করেন। বেশিরভাগ মাছ বরিশাল, পিরোজপুর এবং উজিরপুর হতে আসে বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রিগ্যান সাংবাদিকদের জানান, এটি রাক্ষুসে স্বভাবের মাছ হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশের পরিবেশের সাথে অসংগতিপূর্ণ এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। সরকারী নিষেধাজ্ঞা যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে পিরানহা ও বিদেশী মাগুর মাছ চাষাবাদ ও ক্রয়-বিক্রয় না করার জন্য উপজেলার মাছের আড়ৎ ও ডিপোগুলোতে জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম.