এ বছর বাগেরহাটের চিতলমারীতে কোরবানির বাজার ধরতে খামারিরা ২ হাজার ৮৪ টি পশু প্রস্তুত রেখেছেন। আর মহামারি করোনার মধ্যেও সেগুলো ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দিতে সরকারি ভাবে অনলাইনে দুটি পেজ খোলা হয়েছে। এতে শুধু ক্রেতা নয়, পশু বিক্রি নিয়ে দূর হবে খামারী ও ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা। তাই অনলাইনে কোরবানী কেনা-বেচায় আগ্রহী হয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫ টায় এমনটাই জানিয়েছেন চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন আলী।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিতে আতংকিত না হয়ে সকলকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। করোনার জন্য খামারী ও পশু ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। তাদের পশু বিক্রির জন্য জেলা প্রশাসক বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রাণী সম্পদ দপ্তর ওয়েব সাইডে ‘অনলাইন গরুর হাট চিতলমারী, বাগেরহাট’ এবং ফেসবুকে ‘কোরবানির পশুর হাট ইউএনও চিতলমারী’ নামে দুটি পেজ খোলা হয়েছে। খামারী ও ব্যাপারীরা যাতে সহজে অনলাইনে কোরবানির পশু নিবন্ধন করতে পারেন এ জন্য প্রচার পত্র দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের অফিসের স্টাফরা ও প্রাণী সম্পদ অফিসের লোকজন সরাসরি খামারীদের সহায়তা প্রদান করছেন।
চিতলমারী প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আসাদুল্লাহ গালিব জানান, এ বছর কোরবানি উপলক্ষে খামারীরা ১ হাজার ৪৪০টি ষাঁড়, ৯৫টি বলদ, ২৪০টি গাভী, ২৯২ টি ছাগল ও ১৭ টি ভেড়া বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। অনেকেই বিক্রির জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। তবে ব্যাপারীদের অনলাইন কেনা-বেচায় আগ্রহ কম।
এ ব্যাপারে ব্রহ্মগাতি গ্রামের খামারী বুলু মীর, হিজলার মিল্লাত হোসেন, খাগড়াবুনিয়ার দিলিপ বালা, শ্রীরামপুরের প্রমথ মন্ডল, শিবপুরের মিল্টন কিত্তুর্নীয়া ও পুরানবাড়ির ইব্রাহীম হোসেন জানান, তারা অনলাইনে গরু বিক্রির জন্য প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেছেন। অনেকের গরুর নিবন্ধন হয়েছে। গরু কেনার জন্য খরিদ্দাররা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি