বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামে অগ্নিকান্ডে আনসার-ব্যাটেলিয়ান সদস্য মো. মুজিবুর রহমান তালুকদারের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ফার্নিচার ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে ওঠায় মুজিবুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী মিসেস হাওয়া খানম জীবন রক্ষা পেয়েছেন।
খবর পেয়ে চিতলমারী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ও গ্রামবাসি ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাতের কথা জানালেও মিসেস হাওয়া খানম রাতে রান্না করেননি বলে জানান।
আনসার-ব্যাটেলিয়ান সদস্য মো. মুজিবুর রহমান তালুকদার সদর ইউনিয়নের চৌদ্দহাজারী গ্রামের মৃত নরবেজ তালুকদারের পুত্র। তিনি আনসার-ব্যাটেলিয়ান বাহিনীতে নায়েব সুবেদার পদে খুলনার রূপসার ইলাইপুর ক্যাম্পে কর্মরত আছেন এবং আগামী ২ মে তার অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
মো. মুজিবুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী মিসেস হাওয়া খানম বলেন, ‘রাত ১ টার দিকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য উঠে দেখি ঘরের পিছনে আগুন জ্বলছে। এ সময় আমার ডাক-চিৎকারে মানুষজন ছুটে আসে এবং ৯৯৯-এ ফোন দেয়। খবর পেয়ে চিতলমারী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ও গ্রামবাসি ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে সব শেষ। এ আগুনে পুড়ে আমাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ফার্নিচার ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
চিতলমারী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা এস এম আব্দুল অদুদ বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যাই। দুটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এর আগে এদিন দুপুরে সন্তোষপুর ইউনিয়নের সাড়েচারআনি গ্রামে তপন মজুমদারের বাড়িতে অগ্নিকান্ডে ঘর, ধান ও খড়ের পালা পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে সেই আগুনও নিয়ন্ত্রনে আনি।’
খুলনা গেজেট/এএজে