চালের বাজারে কোন সুখবর নেই। খুলনার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বাসমতি ৬৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে নাজিরশাল ৬৪ টাকা, মিনিকেট ভালো মানের ৬৪ টাকা ও মাঝারিটা ৬২ টাকা, ইরি-২৮ সেদ্ধ ৬০ টাকা ও আতপ ৫০ টাকা এবং স্বর্ণা ৪৫ টাকা এখন।
চালের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ২৪ ডিসেম্বর সরকার বেসরকারিভাবে শুল্ক কমিয়ে কয়েকটি দেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। সে অনুযায়ী খুলনার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে চাল আমদানিও করে। আমদানিকৃত চাল বাজারে আমলেও তার কোন প্রভাব পড়েনি বাজার নিয়ন্ত্রণে। খুচরা বাজারে ভারতীয় ভালো মানের চাল আজও বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়।
খুচরা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, খুলনার কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যে এলসি দরে ভারত থেকে চাল আনছেন তার থেকে অনেক বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন। তাছাড়া এখন ধানের মৌসুম শেষ প্রায়, বাজারে চাল আমদানিও কম। সেজন্য চালের দাম কমছে না।
নগরীর দোলখোলা বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, চালের বাজারে তেমন কোন সুখবর নেই। গত ১৫ দিন ধরে চালের বাজার উচ্চ মূল্যে স্থিতি রয়েছে। দোকানে ক্রেতাদের তেমন ভীড় নেই। প্রতি মাসে যেখানে তিনি ১৫ হাজার কেজি চাল বিক্রি করতেন, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে অর্ধেকেরও কম।
নগরীর মিয়াপাড়ার খুচরা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, চালের বাজার বাড়তি হওয়ার কারণে গত কয়েক মাস বেচাকেনা পড়ে গেছে। বৈশাখ মাস এলে চালের বাজার কিছুটা হলেও সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে। কারণ বৈশাখ মাসে ধানের মৌসুম রয়েছে। একই কথা জানান খুলনা বড় বাজরের একজন পাইকারী ব্যবসায়ীও।