চালের বাজারের লাগাম টানতে এবার বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার। এক্ষেত্রে শুল্কহারও ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকারি পদক্ষেপসমূহ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন।
এসময় তিনি বলেন, বৈধ আমদানিকারকগণ বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবে। পরবর্তীতে একটা নীতিমালার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির অনুমতি প্রদান করবে। নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে বৈধ আমদানিকারকগণ খাদ্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করতে পারবেন। তারপর আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাকে কতটুকু চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হবে। ইতিমধ্যে সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি ও জিটুজি পদ্ধতিতে চার লক্ষ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে।
এসময় খাদ্য সচিব ডঃ মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজ মোল্লাসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বাজারে চালের দাম বাড়ছে হুহু করে। খোদ কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক স্বীকার করেছেন ৩২-৩৩ টাকার মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। অবশ্য কেন এই মূল্যবৃদ্ধি তার কারণ জানেন না মন্ত্রী। রোববার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট (কেআইবি)-এ আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। চলতি বছর দুই দফা বন্যার কারণে আউশ ও আমন ফলনের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান সরকারের হাতে আছে, তাতে চালের এত ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। অথচ আজকে সরকারের ঘরে চাল নেই। আমাদের চাল আমদানি করতে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএম