খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
  গেল ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩

চালের দাম হঠাৎ উর্ধ্বগতি, তেরখাদায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদা উপজেলার হাট-বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব ধরনের চালের দাম। স্বর্ণা,বালাম, মিনিকেটসহ জনপ্রিয় চালের কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। মাসের শুরুতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে কষ্টসাধ্য।

উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। স্বর্ণা চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, আগে যা ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। বালাম চালের দাম কেজিতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় পৌঁছেছে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা।

কাটেঙ্গা বাজারের চাল বিক্রেতা কামরুল শেখ, মুহাম্মদ জুবায়েরসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন, মিল পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে সাধারণ ক্রেতারা এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। তাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন।

খুরশিদা বেগম নামের একজন গৃহবধূ বলেন, চালের দাম বাড়লে শুধু এক পণ্যের দাম বাড়ে না, পুরো সংসারে চাপ পড়ে। বাচ্চাদের জন্য ডাল, সবজি, ডিম সবকিছুতেই কাটছাঁট করতে হচ্ছে।

একই কথা বলছেন জয়সেনা এলাকার ভ্যানচালক দিদার শেখ। তিনি বলেন, দিন শেষে যা রোজগার করি, তা দিয়ে এখন আর বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে বাজারে অন্য নিত্যপণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে ভোক্তাদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের কঠোর নজরদারি না থাকলে এই মূল্যবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় জনগণের দাবি, বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানো ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরবে না।

চালের দাম ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, কোন ব্যবসায়ী যদি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!