ডিপোজিটের চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আর্স বাংলাদেশ ঝিকরগাছার রিজিওনাল ম্যানেজারসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার ঝিরকরগাছার কাউরিয়া গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগ তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো, আর্স বাংলাদেশ ঝিকরগাছার রিজিওনাল ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান লিটন ও বামন আলী চাপাতালা গ্রামের আলী মিয়ার মেয়ে সুমনা ওরফে রানু।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, সুরাইয়া খাতুন আর্স বাংলাদেশ ঝিকরগাছার শাখায় একটি ডিপোজিট খুলে নিয়মিত টাকা জমা দেন। ডিপোজিটের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর জমাকৃত টাকা লাভসহ চার লাখ টাকা তার পাওনা হয়। আসামি সুমনা ওরফে রানুর পরামর্শে রিজিওনাল ম্যানেজার এ টাকা আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরমধ্যে রিজিওনাল ম্যানেজার তার এক মাঠকর্মী দিয়ে ডিপোজিটের মেয়াদ পূর্ণ টাকা দেয়ার কথা বলে সুরাইয়া খাতুনের কাছ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র নেন। এরপর দীর্ঘদিন পার হলেও আর্স বাংলাদেশ ডিপোজিটের টাকা ফেরত দেননি। সুরাইয়া খাতুন অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সুমনা ওরফে রানু জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন করেছেন। এরপর তিনি রিজিওনাল ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দু’ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে ডিপোজিটের টাকা উত্তোলনে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে ঘুষের টাকা না দেয়ায় তিনি ডিপোজিটের টাকা দিতে অস্বীকার করেন।