খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

চায়ের সঙ্গে টোস্ট, যেভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

চায়ের সঙ্গে টোস্ট, অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়। চায়ের সঙ্গে টোস্ট না খেলে, অনেকেই চা খেয়ে তৃপ্তি পান না। মজার ব্যাপার হলো কেউ কেউ শুধু টোস্টের কারণেই চা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি যে টোস্ট বা রাস্ক, যেগুলোকে স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরি বলে মনে করা হয়, সেগুলো আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। টোস্টে রয়েছে চিনি, ট্রান্স ফ্যাট, যা ধীরে ধীরে আমাদের বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে।

জেনে নিন কীভাবে রাস্ক আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে-

রাস্ক তৈরি করতে ময়দার রুটি বেক করা হয়, কেটে তারপর বেক করা হয় যতক্ষণ না এটি সোনালি এবং খাস্তা হয়ে যায়। ডাবল বেকিং প্রক্রিয়া এই খাবারটিকে শুষ্ক এবং খাস্তা করে তোলে, যা এর শেলফ লাইফ বাড়ায় এবং এটি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম করে। শুধু তাই নয়, রাস্কের গঠন এবং স্বাদ বাড়াতে চিনি, দুধ, ডিম এবং অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয়।

চায়ের সঙ্গে টোস্ট শরীরে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়-

ক্যালোরি পূর্ণ- এই রাস্কগুলিতে পুষ্টির পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে, যার কারণে আপনার ওজন বাড়তে পারে। তবে এটি চা দিয়ে খেলে কত ক্যালরি নেওয়া হচ্ছে তা অনুমান করা যায় না।

প্রোটিনের অভাব- টোস্টে অল্প পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। যদিও সারাদিন উদ্যমী থাকার জন্য আমাদের শরীরে প্রচুর প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এটি আপনাকে সারাদিন পূর্ণ রাখে না বরং পেশী তৈরি করতে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা স্থিতিশীল করতেও সাহায্য করে।

পুষ্টির ঘাটতি- আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অনেক ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ প্রয়োজন, কিন্তু টোস্ট এই প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হয় না এবং শরীর দুর্বল বোধ করতে শুরু করে। অনেক সময় শিশুরাও এটা একটানা খেয়ে অপুষ্টির শিকার হয়।

সুগার- এই ধরনের পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ফলে রক্তে সুগারের বৃদ্ধি (রেফ) হতে পারে। যার কারণে কিছু সময়ের জন্য অলসতা অনুভব হতে পারে। যেহেতু রাস্ক ময়দা থেকে তৈরি করা হয়, তাই এতে ডায়েটারি ফাইবারের অভাব থাকে। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট রক্তে সুগারের মাত্রা পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রাস্ক খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

কম ফাইবার- এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের ঘাটতি রয়েছে। যার কারণে ক্ষুধা কম থাকে এবং হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেহেতু এই খাবারটি সহজে হজম হয় না, তাই নিয়মিত এটি খেলে পেট ফোলা, গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!