খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩০
  জুলাই আন্দোলনে শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ কেন ঘোষণা নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

চানখাঁরপুলে ৬ জনকে হত্যা : পলাতক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুরসহ ৮ জনের বিচার শুরু

গেজেট ডেস্ক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে আগামী ১০ আগস্ট আলোচিত এ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও ১১ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার গ্রেপ্তার ৪ আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- সাবেক ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।

এছাড়া আলোচিত এ মামলার পলাতক ৪ আসামি হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

গত ২৫ মে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আসামিরা নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে। ওই সময় শহিদ শাহরিয়ার খান আনাস ছাড়াও শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়।

আলোচিত এ মামলায় আসামি করা হয়- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে। তাদের মধ্যে ইন্সপেক্টর আরশাদ ছাড়াও কনস্টেবল মো. সুজন, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলাম বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার এবং সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!