খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  মারা গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল
  রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

চাকরি ফিরে পেলেন সেই ইমাম, ইউএনওর দুঃখ প্রকাশ

গেজেট ডেস্ক

চাকরি হারানোর দুদিন পর কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাকরি ফিরে পেয়েছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভাটরাকাছারী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল বাশার।

রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে তিনি মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার পর প্রথম ওয়াক্তে নামাজ সেই ইমামের পেছনে আদায় করেছেন আলোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম।

রোববার সন্ধ্যায় ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ পারভেজ হোসেন ও ইমামের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার কার্যালয়ে যান ইউএনওর তোপের মুখে পড়া সেই ইমাম। এ সময় সেখানে উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বডুয়া, লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম, জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার গোলাপ হোসেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কারি আবদুর রশিদ, সেক্রেটারি জহিরুল ইসলামসহ, কেন্দ্রীয় ও জেলার আলেমরা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন ঘটনার পুরো ঘটনার বিবরণ দেন। ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনে জেলা প্রশাসক ইউএনওকে ইমামের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন।

এ সময় ইউএনও সরি বলে ওই ইমামের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমামকে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন।

কুমিল্লা জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইমামের ঘটনাটি সমাধান হয়েছে। জেলা প্রশাসক রোববার মাগরিব থেকে ইমামকে নামাজ পড়াতে বলেছেন। কেউ হুমকি-ধমকি দিলে জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে বলেছেন। সমাধানের পর ইউএনও নিজের গাড়িতে করে ইমামকে নিয়ে ওই মসজিদে গেছেন।’

মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল বাশার বলেন, ‘নামাজ শুরুর আগে ইমামের পেছনে মুয়াজ্জিন থাকে। তখন পেছনে অন্য একজনকে দেখে একটু সরতে বলি। পরে জানতে পারলাম ওনি ইউএনও। তখন আমি ওনার কাছে সরি বলি। এরপর স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান ও ইউএনও তার পাঠানো লোকের বরাত দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি জানান। এ বিষয়টি নিয়ে রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমাদের নিয়ে বসা হয়। ইউএনও বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি মসজিদে ইমামতিতে যোগদান করি। আমি ডিসির তাৎক্ষণিক এমন ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।’

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!