যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটর পদে ১৭ প্রার্থীকে অপহরণ ও আটকে রাখার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন আরাফাত হোসেন ইমন নামে একজন চাকরিপ্রার্থী। তিনি যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, যবিপ্রবি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, গণিত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান রাফি, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান রাব্বি, সিএসই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শোয়েব ও পিইএসএস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহিনুর।
মামলায় আরাফাত হোসেন ইমন বলেছেন, যবিপ্রবি’র লিফট অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য তিনিসহ তার বন্ধু তাজউদ্দীন মিরান ও সোহান হোসেন গত ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্বাবিদ্যালয়ে সামনে যান। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার প্রধান ফটকের সামনে গেলে উল্লিখিত আসামিরা তাদের ভুল বুঝিয়ে মশিউর রহমান হলে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাদেরকে জোরপূর্বক আটকে রাখেন। এছাড়া আসামিরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন আরাফাত হোসেন ইমনরা প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাদেরকে কিল-ঘুষি, লাথি মারেন। আসামিদের মধ্যে রাফি হাসান চাকরি প্রার্থী আরাফাত হোসেন ইমনকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে আসামিরা চাকরি প্রার্থীদের যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের উপর নিয়ে যান এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে কারণে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, তার ধারণা যবিপ্রবি’র পিএসএস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সোহেল রানার নির্দেশে আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
উল্লেখ্য, পিএসএস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সোহেল রানা যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
খুলনা গেজেট/কেডি