চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা এর আগে শনিবার (১১ মে) রাত ১০টার মধ্যে ছেড়ে না দিলে এবং এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে সরকারি সিদ্ধান্ত না এলে গণঅনশন করার ঘোষণা দিয়েছিল। পরে সংগঠনটির নেতারা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচির কথা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেন তারা।
৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, যেহেতু আমাদের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে হবে এবং দাবি বাস্তবায়নে সরকারি সিদ্ধান্ত আসতে হবে। নতুবা রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজু ভাস্কর্যে গণঅনশন হবে। সেই সঙ্গে বিভাগীয় মানববন্ধন ও অন্য কর্মসূচি চলমান থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মাঠে অনড় অবস্থান করবেন।
জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে রয়েছেন। তারা হলেন- সুলতানা সিদ্দিকী, নরসিংদী সরকারি কলেজের রিমা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃষ্টি, ইডেন কলেজের সাথী আক্তার, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের আলামিন, সরকারি বাংলা কলেজের নূর মোহাম্মদ নূর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হুমায়ুন কবির, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের মানিক দাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাসেল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফরিদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজম মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের মামুনুর রশিদ, সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল হাকিম।
এর আগে বেলা ১টার দিকে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সমাবেশে তারা চাকরির বয়স ৩৫ করার বিভিন্ন যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এরপর গণভবন অভিমুখে একটি পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগের দিকে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনরতদের সরিয়ে দেয় এবং তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
খুলনা গেজেট/কেডি