নিল আর্মস্ট্রং-এর চাঁদের মাটিতে পা দেয়ার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। নাসা এখন চাইছে চাঁদে শুধু যেতেই নয়, স্থায়ীভাবে সেখানে অবস্থান করতে। এ জন্য তারা শুরু করেছে প্রজেক্ট আর্টিমেস। তবে চীনও বসে নেই। এরই মধ্যে চাঁদে রোভার পাঠিয়েছে দেশটি। এর আগে রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদে স্থায়ী ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিল চীন।
তবে চাঁদের বায়ুমণ্ডল না থাকায় সেখানে টিকে থাকা কঠিন। নেই টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন। এমন পরিস্থিতিতে চীনের গবেষকরা জানিয়েছেন দারুণ এক সম্ভাবনার খবর।
গবেষণা বলছে, চাঁদের মাটি কার্বন ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করতে পারবে, যে অক্সিজেন মানুষ টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
বৈজ্ঞানিক জার্নাল জুলে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমন সম্ভাবনার কথাই ফুটে উঠেছে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চাঁদের মাটিতে এমন এক সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যা সূর্যালোক এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে ব্যবহার করে পানি, অক্সিজেন ও জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব। ফলে চাঁদে অবস্থান করে মহাকাশ অনুসন্ধান মানুষের জন্য আরও সহজ হবে।
চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ইংফাং ইয়াও বলেন, ‘আমাদের কৌশল একটি টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের বহির্জাগতিক জীবন্ত পরিবেশের একটি ছক প্রদান করবে।’
তিনি বলেন, যদি আমরা বহির্জাগতিক বিশ্বে বড় ধরনের অনুসন্ধান চালাতে চাই, তাহলে আমাদের পেলোড কমানোর উপায়গুলো ভাবতে হবে, যার অর্থ পৃথিবী থেকে যতটা সম্ভব কম সরবরাহের ওপর নির্ভর করা এবং পরিবর্তে বহির্জগৎ থেকেই যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করা।
বিজ্ঞানীদের দলটি গবেষণার জন্য চীনের চ্যাঙ্গ-ই মহাকাশযানে করে নিয়ে আসা চাঁদের মাটি বিশ্লেষণ করেছেন।
এর আগে মঙ্গল অভিযানে পাঠানো নাসার মার্স রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল থেকেই উপাদান নিয়ে অক্সিজেন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। মঙ্গলে মানুষের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার চীনের গবেষকরা চাঁদের মাটি দিয়েই অক্সিজেন তৈরির বিষয়টি সামনে এনেছেন, যা মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
খুলনা গেজেট/ এস আই