চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মোবারক হোসেন বাবু (৪৮)। তিনি বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে। গুরুতর আহত হয়েছেন ইমরান বেপারী (১৮) ও জহির কবিরাজ (৩৫)সহ আরও ৫ জন। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত ইমরান নিহত বাবুর ছেলে ও জহির কবিরাজ বাহাদুরপুর গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে। আহত বাকি ৫ জনের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, বিকেলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে গোলাগুলি হয়। গুলিবিদ্ধ হয় তিনজন। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিগমা রশিদ জানান, গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাকি আহত দুজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়।
নিহতের ভাই আমির হোসেন কালু বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের কর্মীরা মায়া চৌধুরীর সমাবেশে আসার পথে বাধা প্রদান করে ও প্রকাশ্যে গুলি চালায়।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, মায়া চৌধুরীর সমাবেশে আসার পথে গুলিতে মোবারক হোসেন বাবু নিহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতা কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, হামলাকারী কাজী মিজান গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা রাজাকার পরিবারের লোক। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি