‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠো, রুখে দাঁড়াও, পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ কর, করতে হবে। চলো যাই যুদ্ধে ধর্ষকের বিরুদ্ধে, ধর্ষকদের দ্রুত বিচার কর, করতে হবে। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, দিতে হবে। এসব শ্লোগানে মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের রাজপথ প্রকম্পিত ছিল।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রেসক্লাব যশোরের সামনে থেকে গণমিছিল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কালেক্টরেট চত্বরে গণঅবস্থান ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা ও এরসাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য সুকুমার দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যশোর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনু, সিপিবি সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন, অ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু, উদীচী যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, আইডির ব্যবস্থাপক বিথীকা সরকার, তির্যক যশোরের আলমগীর হোসেন বাবু, শিক্ষক টিটো, জয়তী সোসাইটির পক্ষে আব্দুল খালেক প্রমুখ।
বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধসহ আইনের সঠিক প্রয়োগে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কালেক্টরেট চত্বরে গণ অবস্থান শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যশোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে নারী ও শিশুর প্রতি অব্যাহত সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ বন্ধ এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদ যশোর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রহমান জলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারদীনা রহমান এ্যানী, অর্থ সম্পাদক মাহমুদা খানম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক অ্যাড. কামরুন নাহার কনা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুফিয়া খাতুন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক সায়েদা বানু শিল্পী, সদস্য উম্মে মাকসুদা মাসু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ কে এম