হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মুর্শিদাবাদের নবাব মীর জাফর আলী খানের বংশধর, বিশিষ্ট সমাজসেবী, প্রাক্তন সেনা কর্তা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক অফিসার এ আর খান (৭৭)। বুধবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর রবীন্দ্রনাথ ডায়গোনেস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরের জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে তাঁর দাফন হল। চোখের জলে এদিন তাঁকে অজস্র মানুষ শ্রদ্ধা ও শেষ বিদায় জানান। তাঁর জানাজা এদিন ছিল ভিড়ে ঠাসা।
একজন কবি ও লেখক হিসাবে তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। রেল সহ মুর্শিদাবাদ জেলা ও শহরের উন্নয়নের জন্য তিনি তাঁর দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যান। তার মৃত্যুতে মুর্শিদাবাদ ও কলকাতা সহ সব মহলেই গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কলকাতার মুর্শিদাবাদ হাউস শোকে মুহ্যমান। ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরে নেতাজী সুভাষ কলেজ, মুর্শিদাবাদের রেলপথকে উন্নত করতে এ আর খান বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুর্শিদাবাদ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়শন তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলন করে নসীপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু ও আমানিগঞ্জ- ভাগীরথী সেতু নির্মাণের জন্য।
তিনি ছিলেন নবাব সিরাজ-উদ্দৌলা সমিতির অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। মুর্শিদাবাদকে পর্যটনে উন্নীত করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তার মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এসডিপি আই-এর রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/ টি আই