চট্টগ্রাম নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দুই নারী দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন—লায়লি বেগম (৫০) এবং তার পুত্রবধূ ঝর্ণা (৩০)। তাদের মধ্যে লায়লি বেগমের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) বার্ন ইউনিট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকার চামড়া গুদাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জামি বলেন, ‘রাউজান পৌরসভা এলাকা থেকে আমার সিএনজিতে দুই শিশু ও তিন নারীসহ মোট ছয়জন আরোহী ওঠেন। তারা কক্সবাজারের পেকুয়া মালেক শাহ দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন। ভোর চারটার দিকে তাদের নিয়ে রওনা হই।’
‘আতুরার ডিপো এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার উপরে তিনজন মুখোশ পরা ব্যক্তি হঠাৎ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। একটি বোতল সিএনজির পেছনে আঘাত করলে আগুন ধরে যায়। যাত্রীদের চিৎকার শুনে আমি গাড়ি থামিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিভাই। এতে দুই নারী দগ্ধ হন এবং আমার সিএনজিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়,’ বলেন জামি।
লায়লি বেগমের স্বামী আব্বাস বলেন, ‘আমার পুত্রবধূর হাত পুড়ে গেছে আর স্ত্রীর শরীর পুড়ে গেছে। আমরা এখন ঢাকার পথে। ছেলের বউয়ের হাতের আংগুল পুড়ে গেছে।’
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘দগ্ধ দুজনকে ভোর ৫টার দিকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।’
বার্ন ইউনিটের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. খালেদ বলেন, ‘লায়লি বেগমকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, তার অবস্থা গুরুতর।’
খুলনা গেজেট/এনএম