চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ৫জি চালু করতে যাচ্ছে। আর এ বছরেই সারা দেশ ৪জি নেটওয়ার্কের কাভারেজে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২৩ সালে আসছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। ২১ সালেই হাওড়-বিল-চর পার্বত্য অঞ্চল ক্যাবল/স্যাটেলাইট সংযোগের আওতায় চলে আসবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অথবা তার পরের সময়ের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু প্রস্তুতির দরকার আমরা তা শেষ করেছি, এক্ষেত্রে যে সব ত্রুটি আছে তা চলতি বছরের মধ্যে দূর হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউপিইউর সদস্যপদ অর্জন এবং ৭৫ এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা ডিজিটালাইজেশনের বীজ বপণ করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক স্তর থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রযুক্তিশিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী তাদের আগামী দিনের সম্পদে পরিণত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদুৎ সরবরাহের গুরুত্ব অনেক। আমরা ইতোমধ্যে সেই প্রস্তুতি শেষ করতে পেরেছি।
তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনসম্পদ জরুরি। এ লক্ষ্যে ৩৯টি হাইটেক পার্ক নির্মাণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবদুস সবুর, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), পিইঞ্জ, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান।
খুলনা গেজেট/কেএম