অভয়নগর ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইস গেটে পানি প্রবাহ হচ্ছে না। নদী খননের মাটি নদী তীরে রাখায় বৃষ্টির পানিতে সেই মাটি পূণরায় নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে, স্লুইস গেটের মুখে জমছে পলিমাটি। চরম দুর্ভোগ ও অসহায় অবস্থায় রয়েছে জলাবদ্ধ এলাকার মানুষেরা। অধিকাংশ এলাকার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে, তলিয়ে গেছে সবজি ও ফসল ক্ষেত।
অভিশপ্ত ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইস গেট, টেকা নদী, পায়রা, চলিশিয়া ও সুন্দলী ইউনিয়নের জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন ও পানিবন্দি অসহায় মানুষের সাথে কথা বলেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি অপসারণে কাজ করা সহ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সন্ধ্যায় উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন আমডাঙ্গা খালের স্লুইস গেট পরিদর্শন করেন।
দিনব্যাপী পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হুসাইন সাগর, চলিশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাদির মোল্যা, সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সিএ হুমায়ন কবির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম মনিরুজ্জামান মনি, নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ শান্ত, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাজ প্রমুখ।
জলাবদ্ধতা ও পরিদর্শনের ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অভয়নগরসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার প্রায় ৪০টি বিলের পানি নিস্কাশনের পথ ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইস গেট ও আমডাঙ্গা খাল। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিআরএম প্রকল্প চালু করা সহ আমডাঙ্গা খাল খনন এবং প্রসস্থকরণ করা না হলে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মুখ থুবড়ে পড়বে। স্ব স্ব দপ্তর থেকে পরিদর্শনের রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে। আশাকরি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবদহ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, সচিত্র প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হবে। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, মৎস্য কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ পরিদর্শনকালে সাথে ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম