তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকার কোনো প্রমাণ কোথাও নেই।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমি রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, সেখানে জিয়াকে প্রথম সমাহিত করা হয়েছিল বলে বিএনপি দাবি করে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তখনকার চেয়ারম্যান জহির সাহেব এখনো জীবিত। তিনি বলেছেন, তিনটি লাশ সেখান থেকে তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিলো না। এরশাদ সাহেব এবং জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মীর শওকত দুজনেই বলেছেন, তারা কেউ জিয়ার লাশ দেখেননি।’
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, জিয়ার লাশ কেউ দেখেননি।
চন্দ্রিমা থেকে কবরটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, লাশ ছাড়া কবর দাবি করা যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, তেমনি ইসলামের নিয়ম-নীতিবিরুদ্ধ। লাশ ছাড়া কবর রাখার কোনো কারণ আছে কি না, সেটিই জনগণের প্রশ্ন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে’- এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে, এর একদিনও বেশি নয়। গত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়েছে, প্রতিটি নাগরিকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগের ওপর সন্তুষ্ট। পেট্রলবোমা দিয়ে জীবন্ত ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী, অবরোধের নামে মানুষকে অবরুদ্ধকারী বিএনপির সঙ্গে তো জনগণের থাকার কথা নয়। বিএনপি নিজেরাই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।’
‘বিরোধী দল দমনেও আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয়’- উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সন্ত্রাসী, পেট্রলবোমা নিক্ষেপকারী বা ফৌজদারি অপরাধের আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি বিএনপি অপরাধীদের পক্ষ নেয়, তাহলে তো দেশে কোনো ফৌজদারি আইনই কার্যকর করা যাবে না, বিচারও থাকবে না। সুতরাং বিএনপির এ সব কথা হাস্যকর।’