খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ভিতরে বিনোদনের নামে চলছে অসামাজিক কর্মকান্ড

রামপাল প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রনজিৎপুর গ্রামের বহুবিতর্কীত বিনোদন কেন্দ্র চন্দ্রমহল ইকোপার্কে বিনোদনের নামে চলছে উঠতি বয়সি কপোত-কপোতিদের অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড চলার কারণে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে। অতিদ্রুত অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে তা চরম আকার ধারণ করবে।

জানা গেছে, খুলনা র‌্যাব-৬ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর বিভাগীয় কর্মকর্তারা নানান অভিযোগ এনে চন্দ্রমহল ইকোপার্কে ১৫ নভেম্বর সকালে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণে বন্যপ্রাণী ও তার চামড়া উদ্ধার করেন। উদ্ধার করার পর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পার্ক কর্তৃপক্ষকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু জরিমানার নগত ৫০হাজার টাকা প্রদান করায় পার্কের কথিত ম্যানেজারকে ছেড়ে দিয়ে জব্দকৃত বন্যপ্রাণী ও প্রাণীর চামড়া নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে পার্ক কর্তৃপক্ষ ভিন্ন কৌশলে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতি (কপোত-কপোতি) প্রবেশ করাচ্ছে। আর এই যুবক-যুবতীরা পার্কের ভিতরে নানা প্রকার অনৈতিক কার্যকালাপে লিপ্ত হচ্ছে। পার্কের ভিতরের পূর্বপার্শ্বে টিনের বেড়া ও বেশ কয়েকটি বেঞ্চ তৈরী করা রয়েছে। সেখানে কপোত-কপোতিরা নিরপদে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে নানান গল্পের ছলে তারা অসামাজিক কাজ করেই চলছে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, দুর-দুরান্ত হতে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতীরা ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে প্রবেশ করে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে এরপর নিরাপদ স্থান পূর্বপার্শ্বে চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা বেঞ্চে বসে অনৈতিক কাজ করছে। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কার্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, তারা চরম বিপদে রয়েছে। চন্দ্রমহলের ভিতরে ও বাইরে বিনোদনের নামে যে বেহায়াপনা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমাদের এলাকা রশাতলে চলে যাচ্ছে। তারা পার্কের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজিজুল হকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি অতিদ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!