চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শহীদ (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চারজন। শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছালে এ সংঘর্ষ হয়। এদিকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
একই সময়ের মধ্যে আগুন দেওয়া হয়েছে এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক কার্যালয়ে। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে থাকা দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় বাড়িতে ছিলেন না, তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। মেয়রের বাড়িতে হামলার ঘটনা সামাল দিতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলের একটি অংশ থেকে এসব হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর পাল্টা হামলা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মেহেদীবাগের বাসায়। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মীর হেলালের চট্টেশ্বরী রোড়ের বাসার নিচে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।
নিহত শহীদ চকবাজারের রাসুলবাগ আবাসিক এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তাঁর মরদেহ নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তাঁর নাম জানা যায়নি; অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুলিবিদ্ধ অন্য তিনজনের মধ্যে একজনের নাম আব্দুস সাত্তার। তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তারেক আজিজ বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে প্রথমে এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। তার পর শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান বলেন, ‘সন্ধ্যায় কিছু দুর্বৃত্ত হঠাৎ করে মন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করে। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।’ শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস রাহুল দাশ বলেন, ‘তারা বাড়ির সামনে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে। বাড়ির প্রধান ফটকও ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’
খুলনা গেজেট/এইচ