বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান একাদশ আসরে যেন মাটিতে পা রাখতে রাজি নয় রংপুর রাইডার্স। টানা জয়ে নুরুল হাসান সোহানের দলটি নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ম্যাচের আগে টানা চার ম্যাচে চিটাগাং কিংসও জয়রথেই ছিল। তাতে বাগড়া বসিয়ে ৩৩ রানে জিতেছে রংপুর। যা চলতি আসরে তাদের খেলা আট ম্যাচে শতভাগ জয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে রংপুর রাইডার্স। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন খুশদিল শাহ। লক্ষ্য তাড়ায় আকিফ জাবেদদের বোলিংয়ের সামনে চিটাগাং কিংস টিকতে পারেনি। পুরো ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে ১৩১ রান। ৩৩ রানের ব্যবধানে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে দ্বিতীয় হার দেখল বন্দরনগরীর দলটি।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। টুর্নামেন্টের অপরাজেয় দলটি ৯ রানেই ওপেনার তাওফিক খানকে (৫) হারায়। শুরুর ধাক্কা সাইফ হাসান ও স্টিভেন টেলর মিলে সামলানোর চেষ্টা চালান। তবে সাইফ ১৭ রানেই আউট হতে দুজনের ৫২ রানের জুটি ভাঙে। এরপর টেলর (৩৯) এবং ইফতিখার আহমেদও (৩) আউট হয়েছেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। অধিনায়ক সোহানও ৯ রান করে আউট হয়ে গেলে রংপুর বড় লক্ষ্যের পথে হুমকিতে পড়ে।
তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা খুশদিল সেই শঙ্কা কাটিয়েছেন। ২৮ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৯ রান করেন তিনি। সেই ইনিংসই মূলত রংপুরের জয়ের জন্য লড়াকু পুঁজি গড়ে দেয়। শেষদিকে শেখ মেহেদী ১২ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। বিপরীতে চিটাগাংয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আলিস আল ইসলাম ও ওয়াসিম জুনিয়র।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান চট্টগ্রামের ওপেনার উসমান খান। তবে পারভেজ ইমন ও গ্রাহম ক্লার্ক ৪৫ রানের জুটিতে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন। ইমন ১৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৬, ক্লার্ক ২০ বলে ২৩ এবং মোহাম্মদ মিঠুন ২ রানে ফিরলে আবারও চাপে পড়ে বন্দরনগরীর দলটি। এরপর ৫৩ রানের জুটি গড়েন শামীম পাটোয়ারি ও নাইম ইসলাম। তবে ধীরগতির ইনিংসে নাইম ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েছেন। তিনি আউট হয়েছেন ২৪ বলে ১৯ রান করে। ৩১ রানে ৩৮ রান করা শামীমের বিদায়ে চট্টগ্রামের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়।
টেলএন্ডারেও আর কেউই তাদের পথ দেখাতে পারেনি। ফলে ১৩১ রানে নির্ধারিত ওভার শেষ করে চট্টগ্রাম। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন আকিফ জাবেদ। খুশদিল নেন ২ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এএজে