ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনার একটি আদালত এলজিইডি কয়রা উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাবিবুল্লাহকে দুটি ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম দেওয়া হয়।
তিনি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের জনৈক বোরহান উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাবিবুল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ ইয়াছিন আলী।
আদালতের সূত্র জানায়, প্রকৌশলী হাবিবুল্লাহ কয়রা উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে উপজেলা হেড কোয়ার্টার-হায়াতখালী জিসি-গিলাবাড়ি জিসি সড়ক (চেই ০০-২৪০০ মিঃ) পুণবাসন (অংশ ১) প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। উক্ত কাজের ঠিকাদার ছিলেন তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর মুন্সি। কাজ সমাপ্তির জন্য প্রকৌশলী হাবিবুল্লাহ ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে উক্ত ঠিকাদার তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি এবং ১০ হাজার টাকা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রদানে সম্মত হন।
২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল ঘুষ দাবি এবং সম্ভাব্য লেনদেনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক বরাবর উক্ত কাজের ঠিকাদার আবেদন করেন। তারা আবেদন গ্রহণ করে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলে তাকে জানানো হয়। দুদক কর্মকর্তারা তাকে ধরার ফাদ পাতেন। এ উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল ঘুষের টাকা বাবদ ১০ টি এক হাজার টাকার নোট প্রদান করেন ওই ঠিকাদার। যার নম্বর উক্ত ঠিকাদার আগে থেকে সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ঘুষের টাকা দিয়ে ঠিকাদার ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র দুদক কর্মকর্তারা ওই প্রকৌশলীর চেম্বারে প্রবেশ করে তার প্যান্টের বাম পকেট থেকে ঘুষের নগদ ১০ হাজার এবং অতিরিক্ত ৫০০ টাকা উদ্ধার করে। ওই সময়ে তার টেবিল হতে কয়রা উক্ত কাজের নথিও জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক সমন্বিত খলনা জেলার আবুল হাশেম কাজী বাদী হয়ে কয়রা থানায় ওইদিন একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ৭। ২০১৫ সালের ৩১ আগষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক এস এম শামীম ইকবাল প্রকৌশলী হাবিবুল্লাহকে আসামি করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১২ জন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
খুলনা গেজেট/সাগর