ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে চারদিনের টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে লাল-সবুজের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
চট্টগ্রামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে শুরুটা একেবারেই দুঃস্বপ্নের মতো হয়েছে শেখ পারভিজ জীবন এবং শারিয়ার সাকিবদের। দলীয় ১ রানে দুই ওপেনারকে হারায় জুনিয়র টাইগাররা। নিজের প্রথম এবং দলের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আশিকুর রহমান শিবলী এবং আদিল বিন সিদ্দিকের উইকেট তুলে নেন আমির হাসান।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ১০ রানে টাইগারদের আরেক জুনিয়র ওপেনার মাজহারুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ ইসমাইল। একই ওভারে জাকারিয়া ইসলাম শান্তও ফেরেন কোনো রান না করেই। ২১ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট, এবার ইসমাইলের শিকার সিয়াম হোসেন দিপু।
৯ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা বাংলাদেশ, তখন কিছুটা আলোর পথ দেখান শারিয়ার সাকিব এবং শেখ পারভিজ জীবন। দুজনে ৮১ রানের জুটিতে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ, তখনই আব্বা আঘাত হানেন আমির হাসান। অর্ধশতক থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকা শারিয়ার সাকিবকে ফেরান এই পেসার।
সাকিবের বিদায়ের পর আর বড় কোনো জুটি হয়নি। এক প্রান্ত আগলে কিছুটা লড়াই করেছেন জীবন। তবে ৫৬ রান করা এই অলরাউন্ডারের বিদায়ের পর ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ওয়াসি সিদ্দিক।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আমির হাসান। তিনটি উইকেট গেছে মোহাম্মদ ইসমাইলের ঝুলিতে।
খুলনা গেজেট/এমএম