পাকিস্তানে আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হলো। রাওয়ালপিন্ডিতে আজ অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ২৬ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।
পারলেন না ব্রেন্ডন টেলর, পারল না জিম্বাবুয়ে। ২০১৫ সালের মতো আরও একবার পাকিস্তান বধের সুযোগ পেয়েও সাফল্যের গল্প লিখতে পারলেন না টেইলর-মাদেভেরেরা। জিম্বাবুয়ের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ১১৭ বলে ১১২ রানের অনবদ্য সেঞ্চুরি আর মাদেভেরের হাফসেঞ্চুরি হয়ে থাকল আক্ষেপের গল্প।
পাকিস্তানের কাছে ২৬ রানে হেরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু করলো তারা। ২৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারে নিষ্প্রভ ছিল জিম্বাবুয়ের। দলীয় মাত্র ২৮ রানেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। তবে সে বিপদ সামলে উঠে দলকে ভালো অবস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রেইগ এরভিন ও টেলর।
আশার প্রদীপ জ্বালিয়েও ৪১ রান করে ফিরে যেতে হয় এরভিনকে। থিতু হতে পারেননি শন উইলিয়ামসও। শেষ দিকে মাদেভেরে ও টেলর ১১৯ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষের দিকে কোন ব্যাটসম্যান জ্বলে উঠতে না পারায় সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৫ তে থামতে হয় জিম্বাবুয়েকে। পাকিস্তানের হয়ে ৫ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি আর ৪ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। আবিদ আলী ২১ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে তাদের এই জুটি। থিতু হতে পারেননি ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হওয়া বাবর আজম। ৫৮ রান করে ইমাম উল বিদায় নেয়ার পর গড়ে উঠেনি আর কোন বড় জুটি।
একপ্রান্ত হারিস সোহেল আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। হারিসের ৭১ ও শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান তুলে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারবানি ও টেন্ডাই চিসোরো।
খুলনা গেজেট/এএমআর