অ্যাসবেস্টসের অ্যাস ক্যান্সারের উপাদক, এটি পরীক্ষিত। এনিয়ে গবেষণার কোন প্রয়োজন নেই। অ্যাসবেস্টসের অ্যাস শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে মানুষের দেহের ভিতরে প্রবেশ করলে বা এর স্পর্শে আশা পানি পান করলে গলা, ফুসফুস, পাকস্থলি ও মেয়েদের ওভারি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে। ঘরের চালে অ্যাসবেস্টস ব্যবহারের কারণে উপকূলের মানুষ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে ক্যান্সার এখন ঘরে ঘরে পৌছে গেছে। ফলে ক্যান্সারের প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত ‘ঘরে অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার, ‘ঝুঁকি ও করণীয়’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অ্যাসবেস্টসের কারণে ফুসফুস, পাকস্থলি, মেয়েদের ওভারিয়ান ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ক্যান্সার হচ্ছে। বর্তমানে সাতক্ষীরায় ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিত আরো ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে। কাজেই অ্যাসবেস্টস জনিত ক্যান্সার প্রতিরোধে পরিবেশ ক্লিন রাখতে হবে। একই সাথে উপকূলীয় এলাকায় অ্যাসবেস্টস ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। পৃথিবীর ৬৬টি দেশে অ্যাসবেস্টস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানবিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও নাগরিক নেতা মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম, গবেষক পাভেল পার্থ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, রুহুল কুদ্দুস, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, এম জিল্লুর রহমান, আসাদুজ্জামান, আব্দুল জলিল, গোলাম সরোয়ার, পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, আব্দুল হালিম, রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, বাবলু জোয়ারদার, গাজী মাহিদা মিজান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম বলেন, অ্যাসবেস্টস খনি থেকে উত্তোলন হওয়ায় এটিতে ক্যান্সারের ঝুঁিক থেকেই যায়। অ্যাসবেস্টস আমাদের পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত।
বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ অ্যাসবেস্টসের চালের পানি ধরে পান করছে। এই পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। তাহলে ক্ষতির মাত্রাটা বোঝা যাবে। বক্তারা অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানান। আলোচনা সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সরদার।
খুলনা গেজেট/ টি আই