আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় পাকিস্তানের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা ‘ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র (এফআইএ) পর পর দুটি নোটিশের জবাব দেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার তাকে তিন নম্বর নোটিশ দেওয়া হবে। ওই নোটিশের জবাব না দিলে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
এই সংক্রান্ত মামলায় গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দ্বিতীয় নোটিশ পাঠায় এফআইএ। কিন্তু সেই নোটিশের কোনো জবাব দেননি সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী।
শুধু তা-ই নয়, গত ১০ আগস্ট প্রথম নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরাও দেননি ইমরান। এরপর তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তিন নম্বর নোটিশ পাঠানো হবে। সেই নোটিশের জবাব না দিলে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফআইএ।
জানা গেছে- যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়ামে পাঁচটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ওই পাঁচ সংস্থা থেকে ইমরানের দলে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইমরানের পিটিআই বেআইনিভাবে ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন এক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
এই মামলায় ইমরানের দলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছিল কমিশনের তিন সদস্যের বেঞ্চ। নোটিশে ইমরান ও তার দলের কাছ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এই মামলা দায়ের করেছিলেন পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস বাবর। যদিও তিনি বর্তমানে পিটিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত নন।
এ বিষয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। কোনো তথ্য দিতেও বাধ্য নই। দুই দিনের মধ্যে নোটিশ প্রত্যাহার না করা হলে, আইনি পদক্ষেপ নেব।
খুলনা গেজেট/ টি আই