বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি মো. পারভেজ ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ্যানির নামে দুটি মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। এ ছাড়াও একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসার থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন এ্যানিকে তুলে যাওয়ার বিষযটি নিশ্চিত করেছিলেন।
থানায় যাওয়ার আগে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বাসা থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ দরজায় লাথি মারছে, হুমকি দিচ্ছে, দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। আমি সব মামলায় জামিনে আছি বর্তমানে, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
এদিকে বিএনপি নেতা এ্যানিকে তার বাসভবন ঘেরাও, পরবর্তী থানায় তুলে নেওয়া এবং বিনা কারণে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খারাপ এবং অপেশাদার আচরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
এ্যানিকে তুলে নেওয়ায় রিজভীর নিন্দা:
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গভীর রাতে দরজা ভেঙে তুলে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার সকালে ঢাকা টাইমসকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন ‘চারদিক থেকে সরকার পতনের আওয়াজ উঠায় তারা বেসামাল হয়ে আবারও গ্রেপ্তার-নির্যাতন ও ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এসব করে তাদের শেষ রক্ষা হবে না।’
রিজভী বলেন, ‘শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সব মামলায় জামিনে থাকার পরও তাকে বাসা থেকে ডাকাতদের মতো তুলে নিয়ে আসা মানে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, কিন্তু জনগণ আর নিপীড়নকে ভয় পায় না। বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসী বিশ্বাস করে তারা আর জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সুতরাং যতই গ্রেপ্তার-নির্যাতন হোক না কেন পতন ঠেকানো যাবে না। রিজভী আহমেদ অবিলম্বে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির মুক্তি দাবি করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম