গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে রামপালের প্রায় ২ লক্ষ মানুষের মধ্যে অর্ধ লক্ষ মানুষ রয়েছেন সুপেয় পানির সংকটে। সরকারি-বেসরকারীভাবে সকল মানুষের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালানো হলেও লবনাক্ত এ উপকূলীয় উপজেলায় এক চতুর্থাংশ মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে নিরাপদ পানি।
রামপাল উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এ উপজেলায় গভীর নলকূপ রয়েছে ৬০০টি, অগভীর নলকূপ রয়েছে ১ হাজার ৩০০টি, হারভেস্ট ট্যাংকের সংখ্যা ৮৫৬ টি। এর মধ্যে এনজিও থেকে পাওয়া গেছে ২০০ টি। আরও ৬০০ টি পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
সোলার পিএসএফের সংখ্যা ১৪ টি, আর ও প্লান্টের সংখ্যা ২ টি, কাজ চলমান রয়েছে ৩ টি। জলবায়ু প্রকল্পের ওয়াটার ডিস্যলুশন এর সংখ্যা ১৫ টি, কাজ চলমান রয়েছে ১৯ টি।
এ ছাড়াও পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সাপ্লাই এবং নতুন পুকুর খনন করা হবে আরও ২ টি। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসার মো. ইমরান হোসেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এটি একটি তীব্র লবনাক্ত উপকূলীয় উপজেলা। প্রতিদিন সুপেয় পানির আধার বা উৎস কমছে। জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে আমাদের এখানকার জনগোষ্ঠী বসবাস করেন। তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা জরুরী। তাই গত তিন বছরের মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। সরকারিভাবে আমরা সকলের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা গ্রহণে যথা সম্ভব সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
খুলনা গেজেট/ এস আই