খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চায় না বাংলাদেশ, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহবান
  বাংলাদেশি আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে উৎসবে গাড়িচাপায় নিহত ৯
  কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি

গ্রিড বিপর্যয়ের যে ব্যাখ্যা দিলো মন্ত্রণালয়

গেজেট ডেস্ক

খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ১০ জেলায় গ্রিড বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ।রোববার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় মন্ত্রণালয় এ ব্যাখ্যা দেয়।

বার্তায় বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনে সংঘটিত ফন্টের কারণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্যুতির ঘটনা ঘটে। সেদিন গ্রিড নেটওয়ার্কে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। বিকেল ৫টায় মোট জেনারেশন ছিল ১৪ হাজার ৫২০ মেগাওয়াট এবং সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি ছিল ৫০.৪ হার্জ। এ অবস্থায় ৫টা ৪৫ মিনিটে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনে ফল্ট সংঘটিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের যশোর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া উপকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ১০টি জেলায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। তবে, ২৩০ কেভি ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা-ঝিনাইদহ লিংকটি চালু থাকায় ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি লেভেলে সংযুক্ত ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রগুলো চালু ছিল। এই ২৩০ কেভি লিংক ব্যবহার করে পাওয়ার গ্রিডের এনএলডিসি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় দক্ষতার সঙ্গে যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া উপকেন্দ্রগুলো চালু করা হয়। ফলে বর্ণিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

অন্যদিকে, ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনের সংঘটিত ফল্টে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা), ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট আরএনপিএল, ৩০৭ মেগাওয়াট বরিশাল ইলেকট্রিক, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট রামপাল, ২২৫ মেগাওয়াট ভোলা নতুন বিদ্যুৎ ও ২২৫ মেগা ভোলা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্লক-২ ট্রিপ করে প্রায় ২ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। ৬টা ১৯ মিনিটে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট-১ এবং ৬টা ২৫ মিনিটে সার্কিট-২ চালু করা হলে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ-আমতলী লিংকটি সচল হয়।

এমতাবস্থায়, সিনক্রোনাইজিং বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ফলে সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা) বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং ৭টা ৮ মিনিটে ইউনিট-২ সিনক্রোনাইজ করা হয় এবং ৭টা ৩০ মিনিটে বর্ণিত অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রও গ্রিড নেটওয়ার্কে সিনক্রোনাইজ করা হলে রাত ৯টায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়।

সংগৃহীত তথ্য প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, আমিনবাজার উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে এবং গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সার্কিট-১ এর ব্লু-ফেজ এবং সার্কিট-২ এর রেড-ফেজ এর মধ্যে ট্রানজিয়েন্ট শর্ট-সার্কিট সংঘটিত হওয়ার কারণে সার্কিট দুটির উভয় প্রান্ত থেকে সিস্টেম প্রোটেকশনের জন্য ব্যবহৃত প্রটেকটিভ রিলের স্বয়ংক্রিয় অপারেশনে তদসংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ট্রিপ করে যায়।

উপরোক্ত তথ্যের বিস্তারিত কারিগরি যৌক্তিকতা অনুসন্ধানের জন্য এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং পাওয়ার গ্রিড থেকে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!