খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে উধাও ভুয়া লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি

হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধি

জমা অংকের দ্বিগুন দেওয়া হবে। দেওয়া হবে ঋণ। সাথে রয়েছে ঝুঁকির ক্ষতিপূরণ। এমন নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে ২৪ জন গ্রাহকের কাছ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরও ২২ জনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে বিপুল অংকের টাকা। পরে রাতের আঁধারে অফিস গুটিয়ে পালিয়ে গিয়েছে ‘বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স’ কোম্পানি নামে একটি ভুয়া এনজিও। গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে অন্তত ১০ লাখ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রতারিত গ্রাহকদের পক্ষ থেকে হরিণাকুন্ডু ও কুষ্টিয়া মডেল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে কানিজ ফাতিনা নামে ভুক্তভোগী এক যুবতী উল্লেখ করেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ ২৫হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। হরিণাকুন্ডু শহরের একতাঁরা মোড়ে ওই কোম্পানির অফিসে তিনি এক মাস চাকরি করেছেন। তিনিসহ আরও ২১ জন সেখানে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মোট ৭ লাখ ১১হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মাস শেষে বেতন না দিয়ে আমাদের সাথে নানা টালবাহানা করতে থাকে। পরে অফিস বন্ধ করে রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া গ্রামের রাজু আহাম্মেদ নামে এক ব্যক্তি ওই কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার পরিচয়ে তাঁদের কাছ এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান এই যুবতী।

মিথুন হাসান নামে আরও এক যুবক বলেন, আমি ১০ বছর মেয়াদি ৫ লাখ টাকা অংকের একটি বিমা করেছিলাম। প্রথম বছরের কিস্তি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছিলাম। মেয়াদ শেষে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। এ ছাড়া এখান থেকে আমাকে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাবার কাছ থেকে অনেক আকুতি মিনতি করে এই টাকা নিয়েছিলাম।

কানিজ ফাতেমা ও মিথুনের মতো একই অবস্থা ডলি খাতুন, লাদেনসহ প্রায় ৫০জন যুবক-যুবতীর। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই মোটা অংকের বেতনের কথা বলে চাকরি দেওয়া ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই কোম্পানির কথিত জেনারেল ম্যানেজার রাজু আহাম্মেদ।

মাসুদ হাসান নামে ওই ইন্সুরেন্স কোম্পানির হরিণাকুন্ডু শাখার অফিস ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন এক যুবক। তিনি বলেন, আমি নিজেও প্রতারিত হয়েছি। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে কথিত ওই জেনারেল ম্যানেজার রাজু আহাম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

এ ধরণের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষকে আরও সতর্ক হওয়ার আহব্বান জানিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।

খুলনা গেজেট/ এস আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!