খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

বনানীতে স্ত্রীর পাশে কাল সমাহিত হবেন সাহাবুদ্দীন আহমদে

গে‌জেট ডেস্ক

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম নামাজে জানাজা আজ বেলা ২টায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিজ গ্রাম পেময়ীতে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দ্বিতীয় জানাজা আগামীকাল ২০শে মার্চ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণস্থ জাতীয় ঈদগাঁ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। দুদফা জানাজা শেষে আগামীকাল বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তার মরদেহ সমাহিত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি সাহাবুদ্দীন আহমদ।

সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অধ্যাপক অপু উকিল বলেছেন, ‘আমরা একজন গুণী ও সৎ মানুষকে হারালাম। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি হিসেবে জীবনে কোন অহংকার ছিল না। সাদামাটা সুন্দর ও আদর্শ জীবনের প্রতীক ছিলেন তিনি। এলাকার মানুষ খুব ভালোবাসাতো উনাকে। উনার কোনো শত্রু ছিল না। আমি উনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

৯২ বছর বয়সী সাবেক এই রাষ্ট্রপতি কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। দুই ছেলে গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

১৯৩০ সালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার প্রেমই গ্ৰামে জন্মগ্ৰহণ করেন তিনি। পিতা তালুকদার রেসাত খ্যাতনামা সমাজ সেবক ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে মেয়েদের মধ্যে বড় মেয়ে অধ্যাপক ড.সিতারা পারভিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৫ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

সাহাবুদ্দীন আহমদের দ্বিতীয় মেয়ে শাহান পারভীন আমেরিকাতে বাস করছেন। ছোট মেয়ে সামিয়া পারভীন একজন স্থপতি। তিনি লন্ডন প্রবাসী। বড় ছেলে শিবলী আহমেদ একজন পরিবেশ প্রকৌশলী। তিনি ঢাকায় বাস করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ছিলেন ফজলুল হক হলের ছাত্র।

১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের কর্মজীবনের সূচনা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। পরবর্তী সময়ে সহকারী জেলা প্রশাসক হওয়ার পর ১৯৬০ সালে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগে বদলি হন। আসীন হন বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদে। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর ৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন।

১৯৯১ সালে তার অধীনে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। পরে শর্তানুযায়ী তাকে প্রধান বিচারপতির পদে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২৩শে জুলাই তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়। তখন তিনি অবসর কাটাচ্ছিলেন। ২০০১ সালের ১৪ই নভেম্বর পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!