আমার যেতে ইচ্ছে করে গ্রামটির ওপারে
যেথায় সারি সারি গাছগুলো সব দাড়িয়ে।
তাল নারিকেল সুপারি গাছ আকাশপানে ধায়
আমগাছ গুলি নুয়ে থেকে মাটির ঘ্রাণ পায়।
তেমাথার বটগাছটি ছড়িয়ে আছে ভাই
পাখপাখালিরা মনের সুখে আছে তার ছায়ায়।
গহীন বনে সূর্যিমামা হেসেখেলে উকিমারে
আমর সবাই বেচে আছি তাদেরই দয়ায়।
মাঠে মাঠে সবুজ ধান দুলছে মৃদু বাতাসে
কৃষক সেথায় করছে খেলা মনেরও আনন্দে।
বৈশাখেতে মুকুল আসে ধানের ক্ষেতে ক্ষেতে
এসময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে থাকে।
আমগাছেতে গুটি গুটি ধরছে থোকা আম
কিশোরেরা ব্যস্ত সবাই ছিড়তে ছোট আম।
ঝিনুক দিয়ে ছুলতে সবাই ব্যস্ত ছেলেরদল
ঝাল নুন আর মসলাদিয়ে ঝালাতে কোলাহল।
মনের সুখে খেলছে তারা ছন্দে ছন্দে ব্যাকুল
মনমাতানো বিকেল বেলা ঘুড়ির নাটাই মশগুল।
চারিদিকে কচিপাতার মৌমৌ করা ঘ্রাণে
মনের সুখে দুলছে তারা বায়ুর শনে শনে।
গ্রামের ঐ মেঠো পথে মন যে ছুটে যায়
ছেলে বেলার স্মৃতিগুলো মনছুঁয়ে যায়।
যদি তুমি নাইতে নামো শানবাঁধানো পুকুরে
দেখবে সেথায় মাছেরাসব করছে জলকেলি।
হরেকরকম পাখিরা উড়ছে আকাশপানে
মধুরসুরে গাইছে যে গান নানারকম ছন্দে।
তুমি যদি যাও সেথা ঐ গ্রামের ওপারে
মনটি তোমার ভরিয়ে দিবে হৃদয় যাবে জুড়ে।
কপোতাক্ষের তীরে সেযে আমার ছোট্ট গ্রাম
নামটি তার সরুলিয়া খ্যাতিতে জস মান।
বহু জনে কোলাহলে মুখরিত গ্রাম
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবই একপ্রাণ।
স্বনামধন্য জ্ঞানী গুণীর আবাসস্থল
সবাই আমরা একটি মায়ের সন্তান।
খুলনা গেজেট/এমএম