গ্যাবনে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেন সেনাপ্রধান জেনারেল ব্রাইস ওলিগুই এনগুয়েমা। এবার তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাংবিধানিক আদালতে শপথ নিয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) শপথের পর তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এনগুয়েমা।
এর আগে ৩০ আগস্ট গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এ অজুহাত দেখিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সেদিনই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। পরে গ্যাবনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে গৃহবন্দী করে সেনাবাহিনী। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে বঙ্গো পরিবারের টানা ৫৬ বছরের শাসনের অবসান হয়।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ায় দেশটির কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেন। এ ছাড়া সেনাপ্রধান ব্রাইস ওলিগুই এনগুয়েমাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করেন তারা।
এদিকে অভ্যুত্থানের জেরে গ্যাবনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত গ্যাবনের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি যতক্ষণ পর্যন্ত সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সদস্যপদ স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়।
আলী বঙ্গোর বাবা ওমর গ্যাবনের ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ৪১ বছর। ২০০৯ সালে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন আলী বঙ্গো। তিনি ১৪ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে রাজধানী লিব্রেভিলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সামরিক কুচকাওয়াজও অনুষ্ঠিত হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক মন্ত্রীরাও হাজির হয়েছিলেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেরিস্ক ম্যাপলেক্রফ্টের সিনিয়র বিশ্লেষক মাজা বোভকন বলেন, ওলিগুইয়ের দ্রুত শপথগ্রহণ ক্ষমতার বৈধতার ধারণা তৈরি করবে। সম্ভাব্য বিরোধীদের তার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করা থেকে বিরত রাখতে তার ক্ষমতাকে সুসংহত করবে।
খুলনা গেজেট/এইচ