গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ওমর শরীফ সরকারের বিরুদ্ধে ৮ লাখ টাকার মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ধরতে গেলে সাংবাদিক ও সমন্বয়কদের উপর হামলা হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে বৈছাআ সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ফয়সাল জামান ফাহিম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা উঠাতে অভিযুক্ত ওমর শরীফ ৮ লাখ টাকা দাবি করে বলে একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান ফয়সাল।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের মাধ্যমে টাকার ডিল করে শরীফ। এ টাকা ছাত্রদল, বাদী, পুলিশসহ কয়েকজনকে দিতে হবে বলেন তিনি।
এদিকে গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের পেইজে শরীফের একটি রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। যেখানে ৮ লাখ টাকা ডিল করতে শোনা গেছে। এবং টাকা সরাসরি না দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে দিতে বলতে শোনা যায়। কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্র থেকে ওমর শরীফ ও ফয়সালকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। সেইসাথে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফ জানান, এখানে কোনও মামলা বাণিজ্য হয়নি।আমি এই ঘটনায় ভিক্টিম। আর বিবাদী পক্ষ বারবার ক্ষতিপূরণ এর মাধ্যমে সুরাহা করতে চেয়েছে। এবং নানানভাবে প্রেশার ও প্রলুব্ধ করে শেষ অব্দি আমাকে নমনীয় করেছে। এবং সেই সরলতার সুযোগকে ভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে ফাসিয়েছে। আইনগতভাবে ক্ষতিপূরণ চাওয়া দোষের কিছু নয়।
খুলনা গেজেট/এনএম