গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে রবিউল শেখ(৪০)নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে একটি বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি কৃষি কাজ করতেন এবং তার পিতার নাম মালেক শেখ বলে এলাকাবাসী জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে কাশিয়ানীর চর পদ্মবিলা গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড় থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্ত্রী শ্যামলী বেগম জানিয়েছেন, নিহত রবিউল শেখকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তার খালাতো ভাই একই উপজেলার বাঘিয়া গ্রামের কোবাদ শেখ ডেকে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে একটি হত্যা মামলা চলছিল।মামলাটি মীমাংসার কথা হচ্ছিল। কোবাদ শেখের ভাই শহিদ শেখ হত্যা মামলায় তার স্বামী রবিউল শেখ প্রধান আসামি ছিলেন। মামলাটি কিভাবে মীমাংসা করা যায় সে বিষয়ে কোবাদ শেখ বাড়ি থেকে তার স্বামীকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ডেকে নিয়ে যাবার পর থেকে বাড়ির লোকজন আর তাকে খুঁজে পায়নি।
পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই গ্রামের বলরাম বিশ্বাসের বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে জনৈক এক কৃষক নিহতের বাড়িতে খবর দেয়।
নিহতের ভাই মনির শেখ জানায়, বিগত ২০২০ সালে আমার খালাতো ভাই কোবাদ শেখের আপন ভাই শহিদ শেখ নিহত হয়। কিন্তু, সে মামলায় আমার ভাই নিহত রবিউল শেখকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ঘটনায় তাকেও আসামি করা হয় বলে তিনি জানান। সে মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটি মীমাংসার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তিনি জানান।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান জানান খুনের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে সে জেল থেকে বের হয়ে বাড়ি আসে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানান ওসি।