গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মেধাবী ছাত্র মুজাহিদ হওলাদারকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। মানববন্ধন থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসি ও মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা স্মারকলিপি পেশ করেন।
বুধবার নিহতের পরিবার, স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনের উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিঞ্জুরী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন, আওয়ামী লীগ নেতা আবু হানিফ হাওলাদার ঝন্টু, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল হাজরা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি অশোক কর্মকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন, কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাইনুল ইসলাম রিমু, মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিটন শিকদার প্রমুখ।
নিহত মুজাহিদের পিতা সেকেন্দার হাওলাদার মানববন্ধনে বলেন, উপজেলার কুরপালা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার ছেলে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে দ্রুত খুনীদের গ্রেপ্তরের দাবি করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিঞ্জুরী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী মুজাহিদ হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জিল্লুর রহমান বলেন, মুজাহিদ হাওলাদার হত্যা মামলার কিছু আসামি জামিনে আছে ও কিছু পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ স্বারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পিতার একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। সেটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।
৮ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যায় মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী মুজাহিদ হাওলাদারকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন পর তাকে ছেড়ে দিলে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। পরে ১৯ এপ্রিল (বুধবার) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই অলিদ হোসেন বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড