গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে মফিজুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার গেন্ডারিয়া এবং মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ২ জন সম্পর্কে পিতা ও পুত্র।
তারা হল, সিরাজ শেখ ও মোঃ হাচান শেখ। তারা উভয়ই গোপালগঞ্জের বাসিন্দা।
র্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, আসামিদের সাথে ভিকটিম মফিজুরের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২৬ এপ্রিল আসামি সিরাজ শেখ ও তার ছেলে হাচান শেখসহ সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিমের বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে মোঃ মফিজুর রহমানকে এলোপাথারিভাবে কুপাতে থাকে। এ সময়ে মফিজুরের সাত মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী এগিয়ে আসলে আসামিরা তাকেও মারধর করে। স্থানীয়রা মফিজ ও তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মফিজুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ মে মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ খুলনা ও র্যাব-৪ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর গেন্ডারিয়া এবং মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯ মে এ হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী সিরাজ শেখ ও তার ছেলে মোঃ হাচান শেখ গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মফিজুর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কাশিয়ানী থানায় করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড