গোপালগঞ্জে বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। আজ মঙ্গলবার( ১ মার্চ ) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের পার চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছেন, মিঠুন মোল্লা (২৪), সুমন মোল্লা (২৮), নাসির মোল্লা (৪০), একরাম শেখ (৫০), সিরাজ শেখ (৫৫), হেমায়েত মোল্লা (৫০), মাসুদ মোল্লা (৩৫), জরিপ শেখ (২৫), সাবের মোল্লা (২০), আকাশ মোল্লা(১৬), বুলবুল মোল্লা (৩৫), আরিফ মোল্লা (৩০), রবিউল মোল্লা (৩৬), তুহিন মোল্লা (৩০) বদর মোল্লা (৪০)। এদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরমধ্যে মিঠুন মোল্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রানা মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ শেখের মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব কোন্দল চলে আসছিল।
এ ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুলিবিদ্ধ মাসুদ মোল্যা জানান, সংঘর্ষের সময় আবেদ শেখের লোকজন বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি মারে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ শেখের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান রানা মোল্লা চেয়ারম্যান হবার পর থেকেই এলাকায় দলবাজি শুরু করে দিয়ে গ্রামের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি করে দিয়েছেন। সংর্ঘষ চলাকালে ২/৩টি বাড়িতে ভাংচুর এবং একটি বড় দোকানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান রানা মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ফোনে কোন মন্তব্য না করে বলেন, তিনি এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই