ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলামকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে করোনা টিকার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জাকির হোসেন, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার এস এম সাকিবুর রহমান ভ্যাকসিন নেন।
পরবর্তিতে অন্যান্যদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। সিনিয়র স্টাফ নার্স রমা রানী ভক্ত এই বিশিষ্ট জনদেরকে করেনা ভ্যাকসিন পুশ করেন। এর আগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলো।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আয়শা সিদ্দিকা, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্যাকসিন নেয়ার পর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, এটি অত্যন্ত সহজ। এই ভ্যাকসিন দেয়ার পর আমি আলাদা কিছু অনুভব করিনি। এটিতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটি অন্য সব টিকার মতোই। তাই নিঃসংকোচে আমি সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান করছি।
ভ্যাকসিন নেয়ার পর শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জাকির হোসেন বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভয়ভীতি ও কুসংস্কার ছিলো আমরা ভ্যাকসিন নেয়ার মধ্য নিয়ে ওই সব মানুষ সাহস পাবেন এবং নির্ভয়ে করোনা ভ্যাকসিন নিবেন। এই টিকা নিয়ে আমরা করোনার সাথে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করলাম। এই ভ্যাকসিন নেয়ার মাধ্যমে আমরা এই ব্যধিকে প্রতিহত করতে পারবো বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, যারা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেননি তারাও টিকাদান কেন্দ্রে আসলে তাদেরকেও টিকা দেয়া হবে।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলায় করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য এ পর্যন্ত ২৪৪৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। আজ রোববার ৪৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ জেলায় মোট ৫ কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পুলিশদের জন্য ৫ উপজেলায় আলাদা ৫টি বুথ স্থাপন করে ভ্যকসিন দেয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম