গোপালগঞ্জে গোপনে এক নারীকে দাফন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহআলম ও তার সহযোগী লিওন সাহা। মৃত ওই নারীর নাম উম্মে সাইয়েদা(২৩)। সে ওই প্রকৌশলীর স্ত্রী। গত ১৩ জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রকৌশলী।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি)খুব ভোরে দাফন করার জন্য গাজিপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে আনা হয় ওই নারীর লাশ। এর আগে রাতেই কবর খুড়ে রাখা হয়।
কবর স্থানের রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান মৃত নারীর আই.ডি কার্ড অনুযায়ী পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দিতে রাজি হয় না রেলওয়ে অফিসার শাহআলম ও তার সহযোগি লিওন সাহা। তারা কবর থেকে দ্রুত লাশ উত্তোলন করে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
বিষয়টি শেষ পর্যন্ত পুলিশে গড়ায়। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুইজনকে থানায় নিয়ে যায় এবং লাশের ময়নাতদন্ত করতে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলমের (৪৭) সাথে কথা হলে তিনি জানান, লিওন সাহা নামে একটি ছেলের মাধ্যেমে তিনি উম্মে সাইয়েদা (২৩) নামে ওই নারীকে ১১ দিন আগে বিয়ে করেন। দুই দিন আগে হঠাৎ করে তার মৃত্যু হয়। আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে এ বিষয়টি লুকানোর জন্য তিনি তার সহযোগী লিওনের মাধ্যমে লাশ দাফনের জন্য গোপালগঞ্জ নিয়ে আসেন।
চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহআলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শাহদৌলতপুর গ্রামে ও তার সহযোগী লিওন সাহার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামে। আর ওই নারীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে বলে জানাগেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই