শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন তিনি। প্রথমে পালিয়ে মালদ্বীপ এরপর সিঙ্গাপুর এবং সবশেষ থাইল্যান্ডে যান গোতাবায়া রাজাপাকসে।
শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিএসএল) সম্প্রতি জানায় যে, গোতাবায়া রাজাপাকসে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী এবং তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া উচিত। সংস্থাটি আরও জানায়, তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে।
কমিশন আরও বলেছে যে রাজাপাকসে দেশে নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য আইনের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। সরকারকে তার পরিবারকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়ার সুপারিশও করে এ কমিশন।
এইচআরসিএসএল বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে এমন মতামত ব্যক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
গত ১৪ জুলাই ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপ থেকে সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে নামার পর তাকে ১৪ দিনের ভিজিট পাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এর মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ অর্থাৎ ১৪ দিন বাড়ানো হয়। এরপর সেখান থেকে থাইল্যান্ডে যান তিনি।
সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে যান গোতাবায়া। এরপর সিঙ্গাপুরে গিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। গোতাবায়ার সিঙ্গাপুরে প্রবেশের পর দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি ব্যক্তিগত সফরে গেছেন।
শ্রীলঙ্কায় খাদ্য সংকট, বেকার সমস্যা, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে গত কয়েক মাস ধরে। এ সংকটের পেছনে রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করে আন্দোলনে নামে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। জনরোষে অবশেষে দেশত্যাগে বাধ্য হন গোতাবায়া রাজাপাকসে। তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে এর আগেই পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। এরপর দেশের হাল ধরেন কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
সূত্র: কলম্বো গেজেট