ক্রিস গেইলকে পেয়েই যেন ভাগ্য বদলে গেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের। প্রথম সাত ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে যে দলটি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, তারাই টানা পাঁচ জয়ে এখন প্লে-অফের দ্বারপ্রান্তে। এই পাঁচ ম্যাচেই খেলেছেন গেইল।
দারুণ ছন্দে থাকা পাঞ্জাবের কাছে আজ (সোমবার) ধরাশায়ী হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শারজায় তাদের ৮ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে এসেছে লোকেশ রাহুলের দল।
ভাগ্য বদলে দেয়া ক্রিস গেইলের ব্যাটে চড়েই এই সহজ জয় পাঞ্জাবের। লক্ষ্য ছিল ১৫০ রানের। ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ২৯ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় ৫১ রান করে যখন আউট হয়েছেন, জয় থেকে তখন মাত্র ৩ রান দূরে পাঞ্জাব।
এই বড় জয়ে বড় অবদান আছে মানদ্বীপ সিংয়েরও। গেইলের মতো ওতটা মারমুখী না হলেও ৫৬ বলে ৬৬ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলের উইলো থেকে আসে ২৫ বলে ২৮।
এর আগে শুভমান গিল আর ইয়ন মরগ্যানের ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে তুলতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কলকাতা। ১০ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে গেইলের ক্যাচ হন নীতিশ রানা (০)।
পরের ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। রাহুল ত্রিপাথি (৭) আর দিনেশ কার্তিক (০) দুজনকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান এই পেসার। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে মরগ্যান আর গিল ৪৮ বলে ৮১ রানের ঝড়ো জুটিতে দলকে বড় বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।
দশম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন লেগস্পিনার রবি বিষ্ণু। ২৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মরগ্যান। এরপরই ফের বিপদ শুরু হয় কলকাতার।
মরগ্যান ফেরার পরের ওভারে সুনিল নারিনকে (৬) বোল্ড করেন ক্রিস জর্ডান। একটা পর্যায়ে ১১৪ রানে ৭ উইকেট হারায় কলকাতা। তবে এরই মধ্যে একটা প্রান্ত ধরে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টাটা চালিয়ে গেছেন ওপেনিংয়ে নামা গিল।
দলীয় ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে শামিকে মারতে গিয়ে অবশেষে বাউন্ডারির কাছে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ হন গিল। ৪৫ বলে গড়া তার ৫৭ রানের ইনিংসটি ছিল ৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় সাজানো।
শেষদিকে লুকি ফার্গুসন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রান যোগ করে দিয়েছেন ঝড়ো গতিতে। ১৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন লোয়ার অর্ডারের এই ব্যাটসম্যান।
পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শামি। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন রবি বিষ্ণু আর ক্রিস জর্ডান।
খুলনা গেজেট/এএমআর