যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গুলবাগপুর গ্রামের গৃহবধূ মমতাজ খাতুনকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুর চারমাস পর স্বামীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার চৌগাছার মুক্তারপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে নিহতের দুলাভাই হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগটি আমলে নিয়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা আছে কিনা সে ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন ঝিকরগাছা থানার ওসিকে।
মামলার আসামিরা হলেন, গুলবাগপুর গ্রামের নজুর ছেলে নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও নজুর স্ত্রী সখিনা খাতুন, শাহাজানের ছেলে পলাশ, চৌগাছার গয়ড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আমেনা এবং স্বরূপদাহ গ্রামের ইয়াছিনের ছেলে মাহবুব।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ আসামি শরিফুল ইসলাম ঝিকরগাছার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিকের মেয়ে মমতাজকে বিয়ে করেন। কিছুদিন যেতে না যেতে যৌতুকের দাবিতে মমতাজের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরমধ্যে মমতাজ জানতে পারেন তার স্বামী আগে একটি বিয়ে করেছিলেন। এরপর স্বামীসহ অন্যদের অত্যাচারে তিনি চলে যেতে বাধ্য হন। মমতাজের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তিনি তার এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই আসামিরা এসে মমতাজকে তার স্বামীর বাড়ি নিয়ে যায়। পরদিন সন্ধ্যায় মামলার বাদী হৃদয় হোসেন সংবাদ পান মমতাজ মারা গেছেন। মমতাজের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে দেখেন সকলে পালিয়ে গেছে। মমতাজের লাশ বারান্দার খাটের ওপর পড়ে আছে।
পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাশের গোসলের সময় একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে খোঁজখবর ও সাক্ষীদের সাথে কথা বলে মমতাজকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পান তার পিতা। এরপর তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই