পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর টাকা ও র্স্বনালঙ্কার লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজলোর চরমন্তাজ ইউনয়িনরে চরলক্ষ্মী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে।
এদিকে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে শাকিল (২০) নামের একজনকে শনিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। পেশায় টেইলার্স (দরজি) শাকিল চর মার্গারেটের বাসিন্দা মজিবর শরিফের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিন যুবক বোরকা পরে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবশে করে তাকে ধর্ষণের পর টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তার স্বামী স্থানীয় বাজারে এবং ৬ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে ঘুমিয়ে ছিল।
ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, রাত ৯টার আগে-পড়ে তার মোবাইলে বাড়ি থেকে ফোন আসে। পরে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি দ্রুত বাড়িতে ছুটে গিয়ে ছেলেমেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পান। এ সময় বাতি বন্ধ ছিল। টর্চ লাইট মেরে দেখেন, তার স্ত্রীকে টেবিলের সঙ্গে হাত বাঁধা। নাক-মুখ-চোখ ওড়না দিয়ে বাঁধা। পরে তার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এর মধ্যে তার স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনেক অসুস্থ থাকায় দ্রুত গলাচিপা নিয়ে যান। সেখান থেকে পটুয়াখালী নেওয়া হয়। এ ঘটনায় বোরকা পরিহিত তিনজন জড়িত ছিল উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তারা দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন জানান, ওই গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ বলেন, ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন কেউ এলাকায় নেই। তারা পটুয়াখালী রয়েছেন। ওই নারীর বক্তব্য অনুযায়ী তাকে মারধর এবং ধর্ষণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ঘটনায় জড়িত তিনজনের নাম বলেছেন। এ ঘটনায় শাকিল নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইউএনও জানান।
খুলনা গেজেট / এমএম