কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় গৃহবধূকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই নাঈমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা করেছেন।
নাঈম পৌরশহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় গাড়িচালক। অন্যদিকে, ওই গৃহবধূ একটি কয়েল কারখানায় কাজ করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই গৃহবধূ ও নাঈম পূর্বপরিচিত। এর আগে ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নাঈম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কাজ শেষে কারখানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। এ সময় লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতালের কাছ থেকে তাঁকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন নাঈম। ওই সময় জনি নামের এক যুবক ও মাইক্রোবাসের চালক নাঈমকে সহযোগিতা করে।
পরে ওই গৃহবধূকে পাশের জেলা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে নিয়ে মাইক্রোবাসের ভেতর ধর্ষণ করেন নাঈম। এরপর ওই দিন রাত ৯টার দিকে ভৈরব শহরের নিউ টাউন এলাকার রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে মাইক্রোবাসসহ পালিয়ে যান নাঈম। পরে ওই গৃহবধূ বাসায় পৌঁছে পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নাঈমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম