পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রকাশ্য দিবালোকে গৃহবধুর হাত পা বেধে গায়ে আগুন দিয়ে বাসার দরজা বন্ধ করে পালিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। ওই গৃহবধুর ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীর এসে তাকে অগ্নিদগ্ধাবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার নতুনবাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে গৃহবধুর শিশুও গুরুতর আহত হয়। আহত গৃহবধু হলেন, দুমমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা জনৈক জামাল পিন্সের স্ত্রী হালিমা বেগম মিম।
প্রতিবেশীরা জানায়, দুমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা জামাল প্রিন্স ও হালিমা আক্তার মিম দম্পতি চলতি মাসের ২ জুন শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যে যার বাসায় বিশ্রাম নিতে থাকে। হঠাৎ প্রতিবেশী নতুন ভাড়াটে বাসায় চিৎকার ও গোঙ্ঘনির শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকানি বন্ধ পায়। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু হালিমা আক্তার মিমকে হাত-পা বাধাঁ গড়াগড়িরত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু হালিমা আক্তার মিমকে হায় স্বামী হায় স্বামী বলে মুর্ছা খেতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার সময় স্বামী প্রিন্স বাসায় ছিল না বলে জানা গেছে।
মুখোশধারী দুই দুর্বৃত্ত হঠাৎ বাসায় ঢুকে গৃহবধু হালিমা আক্তার মিমের হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে বাইরে থেকে ছিটকানি বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। এতে গৃহবধুসহ শিশুর হাত বুক, পেটসহ শরীরের অনেকাংশ ঝলসে গেছে।
খবর পেয়ে দুমকি থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড